ডেরিভেটিভ ট্রেডিং
আমরা আগে ইন্টেরডে ও ডেলিভারী ট্রেডিং কিভাবে করতে হয় সে বিষয়ে শিখেছিলাম , এই দুই ধরনের ট্রেডিং যে মার্কেটের বিষয় সেটি হল ক্যাস মার্কেট ।এখন ডেরিভেটিভ মার্কেট বিষয় টি জানবো ।
যেমন ইন্টারডে ট্রেডিং এ,এক দিনের ট্রেড হিসাব হয় , সেরকম ডেরিভেটিভ ট্রেডিং এক মাস হিসাবে হয় । চলতি মাসের লাস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেরিভেটিভ ট্রেডিংএর সময়সীমা । এবং এখানে লট হিসাবে ট্রেডিং করতে হয় ।
ডেরিভেটিভ মার্কেট ট্রেডিংএর ক্ষেত্রেও দুটি ভাগ আছে একটি অপশন ও অপরটি ফিউচার ।
অপশন ট্রেডিং ও দুটি ------------
১/ বাড়ার হিসাবে কল
২/পড়ার হিসাবে পুট
ফিউচার
ডেলিভারী ও ইন্টেরডের মতো বাই ও সেল ,
ফিউচার ট্রেডিং করতে গেলে অনেক ফান্ড বা টাকার প্রয়োজন হয় ,কিন্তু অপশন ট্রেডিং তুলনামুলকভাবে সবচেয়ে কম টাকা বা ফান্ড দিয়ে শুরু করতে পারবেন , শুধু তাই নয় অপশন ট্রেডিংএ অনেক সময় ১৫ দিনেই টাকা দ্বিগুনের বেশি হয়। তবে ভালমত বিষয়টি রপ্ত করতে না পারলে প্রচুর লস হতে পারে ।
অপশন ট্রেড একমাসেরই হয় এবং লট ধরে কিনতে হয় , এখানে ব্রকারেজও লট হিসাবে হয় , ১ লটের ব্রকারেজ কোম্পানি অনুযায়ী ২০টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার এখানে সূচকগুলিও কেনা যায় । প্রত্যেক কোম্পানির ডেরিভেটিভ লট সাইজ তাঁদের শেয়ারের তথ্যতে জানিয়ে দেয় । অনলাইন বা কোন অ্যাপ থেকে দেখতে গেলে মার্কেট চয়েস করে ক্যাস থেকে ডেরিভেটিভ করলে ডেরিভেটিভস এর সব তথ্য জানতে পারবেন ।
ফিউচার ট্রেডও এক মাসের হয় ,কিন্তু এখানে এক মাসের বেশি রাখা যায় , সেক্ষেত্রে ব্রকারেজ চার্জ দিতে হয় , এই প্রসেসটিকে রোল ওভার বলে ।
ফিউচার ট্রেডিং এ ব্রকারেজ অপশন ট্রেডিং অপেক্ষা বেশি হয় ও ক্ম্পানি বেসিসে আলাদা হয় ,সেক্ষেত্রে আপনার ট্রেডিং এজেন্সির সাথে কথা বলে নিতে হবে । সাধারণতঃ ১০০-৫০০ টাকা হয় ফিউচার ব্রকারেজ ।
ডেরিভেটিভ মার্কেটে ট্রেডিং করার আগে ক্যাস মার্কেটে বেশ কিছুদিন কাজ করা অবশ্যই প্রয়োজন কারন ক্যাস মার্কেট শেয়ার বাজারের বেস মার্কেট , সমস্ত কিছু ক্যাস মার্কেটের উপর নির্ভর করে ।
ডেরিভেটিভ একদিনের মধ্যে প্রায় অসম্ভব তাই আলাদা আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি পার্টে আলচনা করতে হবে ।
Comments
Post a Comment