শেয়ার কিভাবে কেনাবেচা হয় ? Blog 2

যদি আপনি ডিম্যাট ও ট্রেডিং একাউন্ট খুলে থাকেন বা শেয়ার কেনার জন্য তৈরি থাকেন ,তাহলে এই দ্বিতীয় পর্ব এ জানতে পারবেন শেয়ার বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ।
ভারতীয় শেয়ার বাজারকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয় ।
১/ ইকুইটি
২/ কমোডিটি
৩/ফরেক্স
৪/কারেন্সি
এর মধ্যে ফরেক্স ও কারেন্সি ট্রেডিং এ ভারত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে না কিন্তু ইকুইটি ও কমোডিটি মার্কেট ভারতীয় সরকার দ্বার পরিচালিত NSDL ও SEBI পুরোপুরি সুরক্ষিত বিনিয়োগ প্রদান করে।
১/ ইকুইটি মার্কেট (equity market)
ইকুইটি মার্কেট কেও দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
১-ক্যাশ মার্কেট ও ২- ডেরিভেটিভ 
ক্যাশ মার্কেট থেকে সরাসরি টাকার বিনিময়ে শেয়ার কেনাবেচা করা যায় । যেমন ধরুন আপনার ট্রেডিং একাউন্টে ৫০০ টাকা আছে আর আপনি SBI এর শেয়ার কিনতে চাইছেন, ধরে নেওয়া যাক যে বর্তমান SBI শেয়ার মূল্য ৫০টাকা , তাহলে আপনি ঐSBI এর শেয়ার ২০ টি কিনতে পারবেন । 
এবার একটু টেকনিক্যাল আলোচনা করা হবে ।
আপনি আজকের দিনে যে শেয়ার কিনেছেন সেই শেয়ার (এক বা একাধিক) যদি আজকেই বিক্রি করে দেন তাহলে সেটা ইন্টারডে ট্রেডিং , 
আর আপনি যদি শেয়ার কিনে রেখে দেন তাহলে সেটা ডেলিভের ট্রেডিং । কেনার পর দিন থেকে আপনি যতদিন খুশি শেয়ার আপনার ডিম্যাট একাউন্টে রাখতে পারেন আপনার উত্তরসূরী ও পরবর্তী সময়ে বিক্রি করতে পারবে ।
এতো গেল কিনে বিক্রি করার নিয়ম এবার জানুন শেয়ার মার্কেট এ আগে বিক্রি করে পরে কিনে কিভাবে কাজ করবেন?
প্রায় একই রকম ভাবে ইন্টারডে ও ভেলিভারি করা যায় । উদাহরণ স্বরূপ -- ধরুন আজ বাজার খুব খারাপ সেক্ষেত্রে আপনি শেয়ার বিক্রি করে দিলেন (আপনার কেনা শেয়ার নয় ডাইরেক্ট মার্কেট থেকেই ) যেই দাম পড়বে আপনি কিনে নিতে পারবেন ।
ধরুন ১০০ টাকা দিয়ে একটা শেয়ার সেল করলেন যেই ৯৫ টাকা দাম হবে আপনি কিনে নিলেন । সেক্ষেত্রে আপনার লাভ ৫ টাকা ।
এই কেনা শেয়ার আপনার ডিম্যাট একাউন্টে থাকবে না , কারণ সেল ট্রেডের এটাই নিয়ম, আর যদি কিনতেও চান তাহলে বিক্রি করার সময় একাউন্ট বাই ওর্ডার করতে হবে , এটা ডিম্যাট এজেন্টের কাজ।

Comments

Popular posts from this blog

ডেরিভেটিভ ট্রেডিং

অপশন এডভান্স